জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র - রুই মাছের বায়ুথলি

বায়ুথলিঃ Labeo-র মেরুদণ্ডের নিচে এবং পৌষ্টিকনালির উপরে অবস্থিত পাতলা প্রাচীরবিশিষ্ট থলির নাম বায়ুথলি বা পটকা। এটি দেখতে চকচকে সাদা থলির মতো এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসে (অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড) পূর্ণ থাকে । বায়ুথলিটি সম্মুখস্থ ছোট ও পেছনের বড় প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। দুটি প্রকোষ্ঠের মাঝখানে একটি খাঁজ রয়েছে। সম্মুখ প্রকোষ্ঠ একটি সরু নল দিয়ে অন্ননালির সাথে যুক্ত থাকে । এ নলের নাম নিউম্যাটিক নালি (pneumatic duct)। এটি অন্তঃকর্ণের ওয়েবেরিয়ান অসিকলের সাথে যুক্ত থাকে। বায়ুথলির বাইরের দিক ঘনসন্নিবিষ্ট রক্তজালক সমৃদ্ধ। এর প্রাচীর দুটি স্তর নিয়ে গঠিত । বাইরের যোজক টিস্যু দ্বারা গঠিত স্তর টিউনিকা এক্সটার্না (tunica externa) এবং ভিতরে মসৃণ পেশি নির্মিত স্তর টিউনিকা ইন্টারনা (tunica interna)। বায়ুথলির অন্তঃপ্রাচীরের এপিথেলিয়াম সংলগ্ন একটি লাল বর্ণের গ্যাস গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে ঘনসন্নিবিষ্ট অসংখ্য কৈশিকনালি দেখা যায় যাদের রেটিয়া মিরাবিলিয়া (retia mirabilia) বলা হয় । সামনের প্রকোষ্ঠের এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত গ্যাস দ্বারা বায়ুথলি পূর্ণ হয়। কিন্তু পেছনের প্রকোষ্ঠে বিদ্যমান এ গ্রন্থি গ্যাস শোষণ করে।


বায়ুথলির কাজঃ
*বায়ুথলি প্লবতারক্ষাকারী অঙ্গ হিসেবে কাজ করে।
বায়ুথলির প্রাচীরে অবস্থিত কৈশিকনালি থেকে বায়ুথলিতে অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ করে। 
* বায়ুথলি মাছের আপেক্ষিক গুরুত্ব নিয়ন্ত্রণ করে পানির নিচে স্থির থাকতে সাহায্য করে। 
* মাছ বায়ুথলি দ্বারা শব্দ গ্রহণ করতে পারে। বায়ুথলির সাথে ওয়েবেরিয়ান অসিকল (weberian ossicles) এর মাধ্যমে অন্তঃকর্ণের সংযোগ থাকে । শব্দ তরঙ্গ বায়ুথলি হতে ওয়েবেরিয়ান অর্সিকলের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণে প্রবেশ করে।
* অনেক মাছের বায়ুথলি শব্দ উৎপাদনেও সক্ষম ।
* অক্সিজেনের আধার হিসেবেও বায়ুথলি ব্যবহৃত হয়।

Content added By